সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা, ‘নজরবন্দি’ দিলীপ ঘোষ
মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের ফোন পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি সিকিম পৌঁছলেন
দিলীপ ঘোষ। শুক্রবারই তাঁর সিকিম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগেই
পাহাড়ে নিগ্রহের শিকার হয়ে তিনি এখনই পাহাড় ছাড়বেন না বলে জানিয়েছিলেন।
বিমল গুরুংয়ের একটা ফোনেই ফের সিদ্ধান্ত বদল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সিকিমে মোর্চা সুপ্রিমোর সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বৈঠক করতে পারেন। সেই
বৈঠকের দিকেই দৃষ্টি রাখছে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে তিনি পড়শি রাজ্য সিকিমে যাবেন- তা চূড়ান্তই ছিল। কিন্তু তখন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমতো পরিস্থিতিতে তিনি সিকিমে গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণেই রাজ্যের গোয়েন্দারা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। এই বৈঠক হলে গুরুংকে নাগালে নেওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্য প্রশাসন। এদিন সকালেই দার্জিলিং ছেড়ে সিকিমের নামচির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তাঁকে বিজেপির সিকিম রাজ্যের সভাপতি বাহাদুর চৌহান স্বাগত জানান। তার আগে বিমল গুরুংয়ের ফোন পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর উপর নিগ্রহের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মোর্চা সু্প্রিমো। সেইসঙ্গে তিনি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বলে মনে করছে প্রশাসন। দিলীপ ঘোষ পাহাড়ে পা রেখেই বিনয় তামাংয়ের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। বলেন, পাহাড়ের নেতা বিমল গুরুংই। তাঁর প্রতি আস্থায় বর্তমানে পাহাড়ছাড়া মোর্চা সু্প্রিমো অনেকটা আশ্বস্ত হন। তারপরই তিনি বার্তা দেন দিলীপ ঘোষকে পাহাড়ে স্বাগত জানাতে। কিন্তু স্বাগত জানানো তো দূর অস্ত, পাহাড়বাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। শুধু বিক্ষোভই নয়, তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিমল গুরুং। তিনি ফোন করে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন। সেই ফোন ঘিরেই এখন যাবতীয় জল্পনা। সিকিমে দুই নেতা বৈঠক করতে পারেন বলেই মনে করছে প্রশাসন। দিলীপ ঘোষের পিছুও নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার কোনওমতেই বিমল গুরুংকে হাতছাড়া করতে চাইছে না সিআইডি। সাদা পোশাকে সিআইডি-র তরফে দিলীপ ঘোষের সিকিম সফরকে নজরবন্দি করা হচ্ছে। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, সত্যিই গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, বৈঠক হলে তা কোথায় হবে, সবকিছু জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ওই দল। গোপন ক্যামেরায় সবকিছু তুলে রাখছেন গোয়েন্দারা। তা নবান্নেও পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। Source: oneindia, Posted By: Sanjay Ghoshal |
৬১৮৮টি পুজো কমিটিকে চুরি দায়ে অভিযুক্ত করল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ
ধূমধাম করে পালিত হয়েছে এবছরের শারদোৎসব। বিজয়াদশমীতে রেড রোডে মহাসমারোহে কার্নিভালও করেছে রাজ্য সরকার। তবে এসবের মাঝেই রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ওরফে পশ্চিমবঙ্গ স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের তরফে বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করা হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের ৬১৮৮টি পুজো কমিটিকে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মোট ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার জরিমানা বিদ্যুৎ চুরি দায়ে এই পুজো কমিটিগুলির থেকে আদায় করবে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। কলকাতা ও হাওড়ার একটি অংশ বাদে সারা রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। মোট ২০ হাজার ৩৭০টি পুজো মণ্ডপে তদারকি চালিয়েছেন কর্তারা। মহাষষ্ঠী থেকে মহানবমী পর্যন্ত চারদিন নজরদারি চালানো হয়। তাতে সবমিলিয়ে মোট ৬১৮৮টি পুজো কমিটি নিয়ম ভেঙে বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। এই পুজো কমিটিগুলি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে। যা একেবারেই আইনবিরুদ্ধ কাজ বলে জানিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। পাশাপাশি আইন মেনে মোট ২৫ হাজার ২১৬টি পুজো কমিটি ক্ষণস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছিল। যার ফলে মোট ১১.৯৪ কোটি টাকা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ঘরে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। |
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সম্বর্ধনা
২০শে জুন মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার সহরের কিছু বিশিষ্ট নাগরীকদের উপস্থিতিতে সান্ধ্যকালীন এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য শ্রী দেবকুমার মুখার্জীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করলো আলিপুরদুয়ারের উত্তরবঙ্গ চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ্, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ| অনুষ্ঠানের সুরুতে উত্তরবঙ্গ চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ্ শ্রী অশিক ভট্টাচায্য ও উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীরা উপাচার্য শ্রী দেবকুমার মুখার্জীকে উত্তরীয়,ফুলেরতোড়া,মানপত্র প্রদান করেন| নাগরীকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী সুমন কাঞ্জিলাল আইনজীবি ভাস্কর দে কালচিনির বিশিষ্ট সমাজসেবী রনজিত ঘোষ প্রমুখ| শ্রী রনজিত ঘোষ তাঁর ভাষনে বলেন তাঁরা আন্তরীক প্রয়াস চালাচ্ছেন যা’তে কালচিনিতে চারুকলার বিভাগ সহ একটি মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়| উক্ত মহাবিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তাঁরা তিন একর জমিও সংগ্রহ করে ফেলেছেন| গরীব ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের সুবিধা করাই এর মূল উদ্দেশ্য| এই মর্মে তিনি উপাচার্য্য মহোদয়েরও সাহায্য প্রার্থনা করেন| সাংবাদিক শ্রী সুমন কাঞ্জিলাল তাঁর ভাষনে শিক্ষাক্ষেত্রে উপাচার্য শ্রী দেবকুমার মুখার্জীর অনলস অবদানের উল্লেখ করে প্রশস্তি করেন| অনুষ্ঠানের শেষ বক্তা উপাচার্য শ্রী দেবকুমার মুখার্জী বলেন তিনি আলিপুরদুয়ার কলেজে তাঁর অধ্যাপনার জীবন সুরু করেন| পরে ময়্নাগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ্যতা করেন| বর্তমানে রাজ্য সরকার তাঁকে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছেন| তিনি আরও বলেন যে, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফিক জুরিসডিকসন হ’ল আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাদ্বয়| তাই এই দুই জেলার সমস্ত কলেজগুলি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বেই কাজ করবে| তিনি আলিপুরদুয়ারের ভূমিপুত্র হিসাবে এদত অঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়নের য্থাসাধ্য প্রয়াস চালাবেন| শেষে শ্রী মুখার্জীকে মিষ্টিমুখ করিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়| সংবাদ ও চিত্র : চিত্রসেন বিশ্বাস |
বিজেপি নেতা আক্রান্ত হওয়ায় চা শ্রমিকদের হাসিমারা থানা ঘেরাও
স্টাফ রিপোর্টার ১৬ই জুন ২০১৭, হাসিমারা সোমবার ও মংগলবার ১২ ও ১৩ই জুন যৌথমঞ্চের (জয়েন্ট ফোরাম) ডাকে তরাই ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরীর দাবিতে প্রায় ৯৮% বাগানে স্বতঃস্ফুর্ত ধর্মঘট পালিত হয়| বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তীব্র বাধা ও দমন পীড়ন সত্বেয় উক্ত দুই দিন ব্যাপী ধর্মঘট কিছু ক্ষেত্র ছাড়া প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে সফল হতে দেখা গিয়েছে| জয়েন্ট ফোরামের অন্তর্গত রাজনৈতিক দল গুলির ধর্মঘটে অংশ গ্রহণ কারী বহু সংখ্যক নেতা ও কর্মী জলপাইগুড়ী, আলিপুরদুয়ার, নাগ্রাকাটা, কালচিনি, হাসিমারা, চুয়াপাড়া ইত্যাদি স্থানে পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার বরণ করেন| কিছু কিছু স্থানে তৄণমূল কংগ্রেসের মারমুখী নেতা ও কর্মীদের বিরোধিতায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে| এই ঘটনা গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে পুরাতন হাসিমারাতে| মিছিল ও পিকেটিং এর ফাঁকে বিজেপির ৯ নং মন্ডলের সভাপতি সন্দীপ এক্কা কয়েকজন দলীয় কর্মীর সঙ্গে নিকটস্থ একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন সেই সময় তৄণমূল কংগ্রেসের নেতা কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য বীরেন কুজুর ও আরও কয়েকজন তৄণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সন্দীপ এক্কার উপর হামলা করে| হাসিমারা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে| আহত অবস্থায় তাকে লতাবাড়ী হাসপাতাল ও পরে আলিপুরদুয়ারে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়| হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ায় সাতালী, সুভাষিনি, মালঙ্গী, ভার্নাবাড়ী ইত্যাদি বাগান গুলি থেকে স্ত্রী পুরূষ নির্বিশেষে প্রায় ২৫০০ বিজপির চা শ্রমিক সদস্য দু’ই ঘন্টা যাবত হাসিমারা থানা ঘেরাও করে রাখেন| দীর্ঘ আলোচনার প’র আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ আধিকারিক ডিএসপি বৈদ্যনাথ সাহের আশ্বাসে ঘেরাও উঠিয়ে নেওয়া হয়| বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বি.টি.ডব্লু.ইউএর তরফ থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসিমারা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়| |
সর্বত্রই উত্সবের মেজাজ, দেবী আরাধণায় মেতে উঠেছে ভুবন
সর্বত্রই উত্সবের মেজাজ, বাপের ঘরে চলে এসেছেন উমা। চার ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঠিক একটি বছর পর! চার পাশে এখন আনন্দ জোয়ার। শরতের ঝলমলে আকাশে মেঘ বৃষ্টির ভ্রুকুটি উত্সবের মেজাজে জল ঢালার ভয় দেখালেও মানুষ কিন্তু ঘরে বসে নেই। পঞ্চমীর রাতের ভিড় পুলিশকে রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে। তাই ষষ্ঠীর সকাল থেকেই সন্ধ্যের পরিকল্পনা আরও আঁটোসাটো করে ফেলে লালবাজার। কলকাতা শহর তো বটেই, বোধনের ঢাকের বাদ্যি বাজতে না বাজতে উত্সবের আকাশ ডানা মেলেছে জেলা থেকে জেলায়। মণ্ডপে মণ্ডপে, রাস্তায় রাস্তায় সেই আমেজের ছবি ধরে রাখতে বেরিয়ে পড়েছেন আমাদের চিত্রসাংবাদিকরাও। |
মমতা, মুকুল ; গুলাম কনসার্টে এক সাথে
কলকাতা : অবশেষে মমতা, মুকুল ; গুলাম কনসার্টে এক সাথে | সমস্ত জল্পনার অবসান l অবশেষে নেতাজি ইনডোরে শুরু হলো গুলাম কনসার্ট l আর ওই কনসার্টে এক অন্যমাত্রা যোগ করলো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে করেই যখন নেতাজি ইনডোরে হাজির হন মুকুল রায় l মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় ফের মমতা, মুকুল দুরত্ব ক্রমশ কমছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল l উস্তাদ গুলাম আলির অনুষ্ঠান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ধরেই চড়ছিল উত্তেজনার পারদ l আর এবার সেই অনুষ্ঠানে এক অন্যমাত্রা যোগ হলো, দীর্ঘ কয়েক মাস পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যখন একই গাড়িতে উঠলেন মুকুল রায় l প্রথমে সংসদের সেন্ট্রাল হল, পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়কে l তারপর থেকে ক্রমশ জল্পনা ছড়াতে শুরু করে l কিন্তু, মুকুল রায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কখনও দল ছাড়েননি l তাই, দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, এতে আশ্চর্যের কী আছে ? এদিন, কনসার্টের উদ্বোধনে গুলাম আলিকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় l জানান, পশ্চিমবঙ্গে সব সময় আপনার আমন্ত্রণ l সঙ্গীত, শিল্পের কোনও দেশ, সীমানা হয় না l তাই, আগামী দিনেও পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য আমন্ত্রণ রইলো l যাইহোক, এসবের পাশপাশি, গুলাম আলি কনসার্ট থেকেই নাম করেই মুখ্যমন্ত্রী একহাত নেন বিজেপি এবং শিবসেনাকে l তুলে আনেন স্বামী বিবেকানন্দের প্রসঙ্গ l বলেন, বিবেকানন্দ সব সময় সহিষ্ণুতার কথা বলতেন l আর তাই সহিষ্ণুতা না থাকলে, আমরা বাঁচব কী করে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি l পাশ্পাশি, এই বাংলা স্বামী বিবেকানন্দ, নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান l তাই, এখানে আজকের মতই সবাই মিলেমিশে থাকবে বলেও সম্প্রীতির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী l |
চন্দন কাঠ উদ্ধার, আবার জড়াল চম্প্রমারির নাম
জুলাইয়ের গোড়ায়, কালচিনির পাহাড়তলিতে তাঁর গ্রাম থেকেই উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ রক্ত চন্দন কাঠের গুঁড়ি। শনিবার, শাসক দলের সেই বিধায়ক, উইলসন চম্প্রমারির গ্রামে ফের হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে আট কুইন্ট্যাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করল বন দফতর। ঘটনাটি বিধায়কের বিরুদ্ধে তাদের সন্দেহ যে অমূলক নয়, তা-ই প্রমাণ করছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ দিন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভোর থেকেই কালচিনির পশ্চিম সাতালি গ্রামে অভিযান শুরু করেছিল বন দফতর। সঙ্গে ছিল সীমা সুরক্ষা বল (এসএসবি) এবং স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা। প্রায় ঘণ্টা তিনেক তল্লাশির পরে এক গ্রামবাসীর বাড়ি থেকে ৮.৪০ কুইন্ট্যাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। দফতরের এক কর্তা জানান, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আড়াই মাস আগে ওই গ্রামে হানা দিয়েই মিলেছিল প্রায় কোটি টাকার রক্ত চন্দন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘কাঠ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা শুধু প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছি।’’ উইলসন অবশ্য বলছেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। আইন আইনের পথে চলুক। তাতেই সত্য প্রমাণিত হবে।’’ দিন কয়েক ধরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মারফত বন দফতর এবং এসএসবি’র কাছে খবর পাঠানো হচ্ছিল, পশ্চিম সাতালি গ্রামে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বেশ কিছু চন্দন কাঠ। তার জেরেই এ দিনের অভিযান। এ দিন ভোরে প্রথমে বস্তিবাজার এলাকায় রাজকুমার মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে হানা দেয় এসএসবি। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা রক্ত চন্দনের ৮২টি গুঁড়ি উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু শাল ও সেগুন কাঠ, একটি হরিণের শিং এবং ভুটানে তৈরি অন্তত ৩৭ কার্টন বিয়ার। তবে রাজকুমারের খোঁজ মেলেনি। বাড়িতে অন্য কাউকে না পেয়ে তার দিদি সুপ্রিয়াকে জেরা করেন বনকর্মীরা। রাজকুমারের পড়শি বীরবাহাদুর ছেত্রীর বাড়ির উঠোন খুঁড়েও উদ্ধার হয় ১০-১২টি রক্ত চন্দনের গুঁড়ি। আড়াই মাস আগে, ওই গ্রামে হানা দিয়ে রমেল কার্জির বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ রক্ত চন্দন কাঠ উদ্ধার করেছিলেন বনকর্মীরা। মালতি নার্জারি নামে এক মহিলার বাড়ির লাগোয়া পুকুর থেকেও পাওয়া গিয়েছিল রক্ত চন্দন। সেই সময় রমেলের দাবি ছিল, ওই চোরাই মাল উইলসানের বাবা সুবিন চম্প্রমারির নির্দেশেই নিজের ঘরে রেখেছিল সে। এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে, রক্ত চন্দন পাচারে উইলসনের যোগসাযশ রয়েছে বলে দাবি করে। পরে ওই এলাকায় হানা দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা সৌন্দরা রাজন নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্স : আনন্দবাজারের খবর |
1-10 of 44